ফিরিয়ে দিন মুক্তমঞ্চ - পথে নামলেন শিল্পীরা : গান গেয়েই হাঁটলেন রাস্তায়

10th October 2020 10:38 am হুগলী
ফিরিয়ে দিন মুক্তমঞ্চ - পথে নামলেন শিল্পীরা : গান গেয়েই হাঁটলেন রাস্তায়


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : মুক্ত মঞ্চ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে পথে নামলেন শিল্পীরা। চুঁচুড়া লঞ্চঘাট থেকে  র‍্যালি করে হুগলি জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে গিয়ে সভা করেন শিল্পীরা। লকডাউন সময় কালে কোনো বিচিত্রানুষ্ঠান হয়নি। আনলক পর্বেও বন্ধ অনুষ্ঠান। রুজি রুটিতে টান পরেছে শিল্পীদের। পুজোর সময় উৎসবের মরসুমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের চাহিদা থাকে বেশি।এবারে তা হয়নি।তাই সমস্যা বেড়েছে।গান করার অনুমতি চাইতে পথেই গান করছেন শিল্পীরা।কন্ঠ শিল্পী যন্ত্র শিল্পী এ্যাঙ্কার নৃত্য শিল্পী লাইট সাউন্ড ডেকরেটার গাড়ি, সব মিলিয়ে রাজ্যে কয়েক লক্ষ লোক এই পেশার সঙ্গে যুক্ত।শুধু হুগলি জেলাতেই রয়েছে পাঁচ হাজার। শিল্পীরা সভা থেকে দাবী তোলেন তাদের অনুষ্ঠান করার ছাড়পত্র দেওয়া হোক।সিনেমা হল শপিং মল নাটক যাত্রা খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সব কিছু করোনা প্রকোপ থাকলেও ছন্দে ফিরছে জীবন। শিল্পীদেরও দাবী তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মঞ্চে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হোক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যখন সমস্ত রকমের বিধিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কর্মসূচী পালন করছে , তখন শিল্পীরাই শুধু মাত্র তারা কাজে কেন অংশ নিতে পারবে না । বিধি মেনেই হোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বলে দাবী । মুখ‍্যমন্ত্রী ট‍্যুইট করে এক কথা ঘোষনা করলেও কোনো জেলাতেই অনুমতি মিলছে না অনুষ্ঠান করার বলে অভিযোগ । আত্মহত‍্যা করতে হবে মুক্তমঞ্চের সাথে যুক্ত মানুষদের বলে মত শিল্পীদের । অবিলম্বে মুখ‍্যমন্ত্রী দৃষ্টি আরোপ করুন  সমস‍্যার সমাধানে বলে দাবী আন্দোলনকারীদের । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।